আদালতের রায় অমান্য করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সেমিস্টার প্রতি ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি না করা এবং ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার সুপ্রিম কোর্টস্থ ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এসব দাবি জানান। একই সাথে তারা ভুক্তভোগী দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ফরিদপুরের টাইমস ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীদের আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মো: মাছুদুর রায়হান প্রিন্স, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মো: মনিরুল ইসলাম (মিঠু), বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটির এস আর শাহীন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মো: সাব্বির হোসাইন, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির খন্দকার আবরার আহমেদ প্রমুখ।

তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বাণিজ্য, গাফিলতি ও খামখেয়ালিপনায় তাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ আইন বিষয়ে স্নাতক পাসের পর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রত্যেক আইন শিক্ষার্থীই আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। নিয়ম অনুসারে আইন পাসের পর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা দিতে হলে সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ছয় মাস শিক্ষানবিশ থাকতে হয়। তারা বলেন, আমরা বার কাউন্সিলের অনুমতি সাপেক্ষে ওই ছয় মাস সময় পার করেছি। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি বাণিজ্যের কারণে বার কাউন্সিল ২২ নভেম্বরের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেয়া থেকে বঞ্চিত করছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্নাতক পাস করাসহ বার কাউন্সিলের সব নিয়ম আমরা পূর্ণ করেছি। অথচ এত দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না পেয়ে আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি এবং সে রিটটি আপিলে শুনানির জন্য রয়েছে। অন্য দিকে বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় দুই বা তিন বছর পরপর অনুষ্ঠিত হওয়ায় আসন্ন ২২ নভেম্বরের পরীক্ষায় যদি অংশগ্রহণ করতে না পারি তাহলে আমাদের এই দুই হাজার শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।