শাহীন আলম, দুর্গাপুর (রাজশাহী) সংবাদদাতা; জেলার  দুর্গাপুরে এবার তুষার ইসলাম (১৬) নামের ঢাকা ফেরত এক দশম শ্রেণীর ছাত্রের করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসেছে। তুষারের বাড়ি উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। তুষারের বাবা আব্দুর রশিদ ঢাকার সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করতো। সেখানে বাবা-মায়ের সাথেই থাকতো সে। সাভার এলাকার মোহাম্মাদ ইয়াকুব আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীতে বিজ্ঞাণ বিভাগের ছাত্র সে। এ নিয়ে দুর্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে।

জানা গেছে, বাবার চাকুরির সুবাদে ঢাকার সাভারেই বাবা মায়ের সাথে থাকতো তুষার। দেশে সাধারণ ছুটির ফলে স্কুল বন্ধ থাকায় ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ১৫ মে ট্রাকে করে গোপনে বাবা মায়ের সাথে ঢাকার সাভার থেকে নিজ বাড়িতে আসে তুষার। পরে স্থানীয় লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খবর দিলে ১৯ মে তুষার ও তার বাবা মায়ের নমূনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজী বিভাগে পাঠায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এরপর পরীক্ষার জন্য ঢাকা ল্যাবে পাঠানো হলে শনিবার সকালে তুষারের করোনা ভাইরাস পজিটিভ এসছে বলে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ এনামুল হককে জানানো হয়। তবে তুষারের করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসলেও তার বাবা মায়ের করোনা নেগেটিভ এসেছে। এমনকি তাদের শরীরে কোন উপসর্গ নেই বলে জানা গেছে।

এদিকে, দুর্গাপুরে এনিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে। আগে আক্রান্ত দুইজন এখন সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধা জানান, ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত স্কুল ছাত্রের বাড়ি লকডাউন করতে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৩ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৮৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬ হাজার ৪৮৬ জন। সুস্থতার হার ২০.২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৬ জন ও নারী চারজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে চারজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৪১ জনকে।
আমাদের বাণী ডট কম/২৩ মে ২০২০/ভিপিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।