চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সাড়ে ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে সরকার। এদের মধ্যে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার মেধা ও সাধারণ বৃত্তি দিতে বোর্ড ভিত্তিক কোটা বণ্টন করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নতুন নিয়মে বৃত্তি দিতে চলতি বছরেই অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করতে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে বলা হয়েছে। অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঢাকা বোর্ডের ৯৪৫ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৭ হাজার ১৭৮ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডের ৭২২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ৩ হাজার ১৬৪ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, কুমিল্লা বোর্ডের ২৭৮ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, সিলেট বোর্ডের ৮৮ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ১৯৮ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, বরিশাল বোর্ডের ১৩২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ২৮৫ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, যশোর বোর্ডের ৩১৩ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৫৩৮ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি, চট্টগ্রাম বোর্ডের ২৩৫ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ১ হাজার ৮৬৭ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি এবং দিনাজপুর বোর্ডের ২৮৭ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও ২ হাজার ৬৬৮ শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। এভাবেই বৃত্তি কোটা বণ্টন করে বোর্ডগুলোকে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা ও বছরে এককলীন ৯০০ টাকা দেয়া হবে। আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩৫০ টাকা এবং বছরে এককালীন ৪৫০টাকা দেয়া হবে। বৃত্তির টাকা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি-মেধা বৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে।

অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেয়া হবে। বোর্ডের আওতাধীন প্রতি উপজেলার দুইজন ছাত্র ও দুইজন ছাত্রীকে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। আর মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতিটি থানাতে একজন ছাত্র ও একজন ছাত্রীকে এলাকা কোটা অনুসারে সাধারণ বৃত্তি দেয়া হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বৃত্তির গেজেট প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।