নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; বিশ্বব্যাপী দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন। সংক্রমিত হয়েছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীও।  আর এই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছে দেশে। এবার মরণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত খোদ  স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দপ্তরের এক কর্মকর্তা।  প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্ব মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সব পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তৈরি পোশাক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ কারখানা বন্ধ রাখতে সদস্যদের অনুরোধ করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ ২০২০) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে সাড়া দিয়ে মালিকরা নজি নিজ কারাখানায় ছুটি ঘোষণা করেছেন।

এর আগের দিন আরেক সংগঠন বিকেএমইএও একইভাবে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠায়। এর ফলে দেশের সব পোশাক কারখানা আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে মাস্ক এবং পিপিপি তৈরির কাজ করছে এরকম কারখানাগুলো খোলা থাকবে। তবে কারখানা কতদিনের জন্য ছুটি থাকবে তার দিকনির্দেশনা সংগঠনগুলোর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দিপু জানিয়েছেন, শিগগিরই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী বন্ধের দিকে যেতে পারেন তারা। শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী, যে কোন মহামারী পরিস্থিতিতে কারকানা বন্ধ রাখা যায়। সেক্ষেত্রে বন্ধ থাকার সময়টি শ্রমিকদের মূল বেতনের অর্ধেক ও বাড়ি ভাড়া ভাতার অর্থ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে চলতি মাসের বেতন দিতে হবে। যতো সমস্যাই থাকুক, এটি নিয়ে কেউ অবহেলা করবে বলে মনে হয় না।

আমাদের বাণী ডট কম/২৭ মার্চ ২০২০/টিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।