ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়  বাস থেকে নামার পর তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার (০৫ জানুয়ারি ২০২০) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেলেরওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধর্ষণের খবর তাঁর সহপাঠীরা জানার পরপরই মাঝরাতে ঢাকা মেডিকেলে জড়ো হন তারা। মেডিকেলে ছুটে এসে ধর্ষককে বিচারের আওতায় আনতে সব ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নির্যাতিতা ছাত্রীকে দেখতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা।’ ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তাঁর সহপাঠিরা বলে, দেশে ধর্ষকের বিচার হয় না বলেই খোদ রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের শিকার হতে হলো। ধর্ষণের প্রতিবাদে এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সমাজ সেবা সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, ‘ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনা হলে এ ঘটনাগুলো কমে আসত। আজকের এ ঘটনা হয়তো আমাদের দেখতে হত না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতিতার সহপাঠি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে সোমবার (০৬ জানুয়ারী ২০২০) সকালে বিক্ষোভে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে উঠে।

উল্লেখ্য, গতকাল ক্লাস শেষে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসে চড়ে কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তার সহপাঠীরা জানান, সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। এসময় পেছন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার নাকমুখ চেপে ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে পাশের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায় ধর্ষকরা।

রাত ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে আশপাশের মানুষের সহায়তায় সিএনজিতে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যান তিনি। সেখান থেকে রাত ১২দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে আসেন তার সহপাঠীরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।