নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুল ছাত্রী (১৫)। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিকের বন্ধু বড়াইগ্রাম রেজুর মোড় এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে সোহেল (৩৬) ও লক্ষীকোল এলাকার আসলাম হোসেনের ছেলে ইমন (২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।

তবে প্রতারক প্রেমিক পাবনা সদর উপজেলার দুবলার চর ঘাটনি পাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমান ওরফে নাহিদকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক সংলগ্ন রেজুর মোড় এলাকার একটি পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

থানা ও স্কুলছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা যায়, প্রতারক জিল্লুর উপজেলার রাজ্জাক মোড়ে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে। প্রায় ৬ মাস আগে জিল্লুর নিজেকে নাহিদ নামে পরিচয় দিয়ে উপজেলার আগ্রান উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এদিকে শুক্রবার জিল্লুর মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে তার সাথে দেখা করতে চায়। সে অনুযায়ী রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটি লক্ষীপুর এলাকার নানার বাড়ি থেকে সোহেল ও ইমনের সহযোগিতায় মোটরসাইকেলে চেপে পাশের রেজুর মোড়ে আসে। পরে জিল্লুর মেয়েটিকে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিছু সময় পরে স্বজনেরা মেয়েটিকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।