বিদ্যালয়ে চাকুরী ও পছন্দমত বিদ্যুৎসাহী সদস্য না নেওয়ায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার নওদাগ্রামের কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই এলাকার এন কে আর পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকারিয়া হোসেন উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

বিষয়টি নিয়ে জাকারিয়া হোসেন কোটচাঁদপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন। নওদাগ্রাম এন,কে,আর পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন  বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার নওদাগ্রামের নুর বক্সের ছেলে লিটন ওই বিদ্যালয়ে লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরীর জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। কিন্তুু বিদ্যালয়ে সম্প্রতি কোন সার্কুলার না থাকায় অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে চাকুরী প্রত্যাশী লিটন তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকী দেন।

তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রথম ম্যানেজিং কমিটির সভায় সকলের সম্মতিতে বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসাবে পাশের কাশিপুর গ্রামের রুস্তম আলীকে কমিটিতে নেয়া হয়। ফলে ওই লিটনের পছন্দের প্রার্থী বাদ পড়ে। এতে লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

গত ২৩ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে নওদাগ্রামের বাসষ্ট্যান্ডে লিমের দোকানে বসে চা পান করার সময় জাকারিয়া হোসেনের উপর লিটনের নেতৃত্বে ওই গ্রামের মৃত আদলউদ্দীন ম-লের ছেলে জলিল হোসেন, মৃত সেরেস্তালীর ছেলে ওলিয়ার রহমান, মৃত আবুল সরদারের ছেলে আয়ূব হোসেন মনু হামলা চালায়। এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম এবং তার ভাই মণ্টু মল্লিকসহ এলাকার বেশ কয়েক জন সেখানে উপস্থিত থাকায় এবং তাদের হস্তক্ষেপে হামলাকারীরা পিছু হটে। ফলে তিনি হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পান।

নওদাগ্রাম এন,কে,আর পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হোসেন ওই রাতেই থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডাইরী করেন। ডাইরী নং-৯৭১, তারিখ- ২৩/১১/২০১৯-ইং। এরপরও তারা থেমে থাকেনি। থানায় ডাইরী করার পরের দিনই জলিল ও ওলিয়ার বিদ্যালয়ে যেয়ে প্রধান শিক্ষক শাহিনুর হোসেনের কাছে রেজুলেশনের খাতা দেখতে চান। এখানে লিটন আগে থেকেই উপস্থিত ছিল। প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়া রেজুলেশন খাতা দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায় তারা।

এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটি সদস্য কালু মল্লিক জানান, জলিল ও ওলিয়ার বিদ্যালয়ে এসে রেজুলেশনের খাতা দেখতে চাওয়ার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমি ইসারা দেওয়াতে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে রেজুলেশন খাতা দেননি।

তিনি বলেন, লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ পেতে লিটন ও তার সাগরেদরা এ ধরণের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর হোসেন বলেন, লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ নিয়েই মূলত যত ঝামেলা। এর বাইরে তিনি আর কিছুই বলতে চাননি।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

স্থানীয় থানার ওসি (তদন্ত) ইমরান আলম বলেন, এ বিষয়ে জাকারিয়া হোসেন একটি সাধারণ ডাইরি করে গেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।