বরিশাল সংবাদদাতা;  আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট পালিত হবে মুসলমামদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মূলত পশুর হাট ঘিরেই থাকে এ উৎসবের ব্যাপ্তি। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কারণেই এ বছর তুলনামূলক কম পশুর হাট অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। যে কারণে পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় এবার কম পশুর হাট পরিলক্ষিত হবে দেশের সব স্থানে। তারপরও থেমে নেই উৎসব পালনের এ আয়োজন।

দেশের বেশির ভাগ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যেই পশুর হাট নির্ধারণ করে অনুমোদনও দিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি)। ১৫ দিনেরও কম সময় বাকি থাকলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিসিসি কর্তৃপক্ষ। শুধু করপোরেশনের মন্থরতা নয় হাট ইজারাদারদেরও রয়েছে ঢিলেঢালা ভাব। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাট ইজারা নিতে একটি আবেদনও জমা পড়েনি।

আর অবাক করার বিষয় হচ্ছে হাট ইজারা দেওয়াসহ ব্যবস্থাপনা ও তদারকিতে একাধিক কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থাকার কথা থাকলেও একে অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে কৌশলে এড়িয়ে চলছেন দায়িত্ব। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সবার মাঝে একই প্রবণতা লক্ষ করা গেছে।

এদিকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারণে ক্ষতির শঙ্কায় ইজারাদাররা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কারণ হাটের পরিস্থিতি (বেচা-কেনা) কেমন হবে তার পূর্ব ধারণাও নিতে পারছে না তারা। প্রতি বছর হাট ইজারা নিতে এক ধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হলেও এবার তার উল্টো চিত্র।

বিসিসির হাট বাজার শাখার পরিদর্শক রেজা বলেন, এখনো কোনো ইজারাদার আবেদনই করেননি। তারপরও আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বরাবরের মতো এবারও ৫ দিন হাট বসবে বলে জানান তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনাগ্রহতা থেকে নয়, প্রতিবছরই শেষ সময়ে আবেদন করেন ইজারাদাররা।

বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো খবর আমার কাছে নেই। তবে প্রতিবছরের মতো ২টি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী ৪টি হাটের অনুমোদন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি ভেটেনারি কর্মকর্তা দেখভাল করছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। মূলত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন. স্বাস্থ্য বিভাগ হাটের সার্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও ঝুঁকির বিষয়াদি তদারকি করবে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল হাটে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদের বাণী ডট কম/১৮  জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।