ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় বছরের পর বছর ধরে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) পদ শূন্য রয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ পদটি গত কয়েক বছর ধরে শূন্য থাকায় ভূমি অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিলম্ব হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকার জনগণের। পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের বসবাস। অবিলম্বে পদটি পূরণের দাবি জানিয়েছেন পীরগঞ্জ উপজেলার ভূমি মালিকেরা। তথ্যঅনুসন্ধানে পীরগঞ্জ উপজেলা

ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন এসিল্যান্ড সারোয়ার মোর্শেদ ইউএনও পদ-মর্যাদা পেয়ে বদলি হয়ে চলে যান বোচাগঞ্জ উপজেলায়। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসিল্যান্ড পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। প্রায় গত দুই বছরেও বেশি অতিবাহিত হলেও এখনও এ উপজেলায় নতুন কোন এসিল্যান্ড নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে উপজেলার জমি সংক্রান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম জমির নামজারী (খাজনা-খারিজ) এবং জমিজমা সংক্রান্ত কাজে আসা মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম।ভূক্ত ভোগীরা জানান, এসিল্যান্ড পদ শূণ্য থাকায় বর্তমান ইউএনও ডব্লিউ  এম রায়হান শাহ্ অনেক সময় প্রশাসনের কাজে ব্যস্থ থাকার কারণে ১৫দিনের খারিজ ২মাসের অধিক সময় লাগে। একারণে বিভিন্ন প্রকার ফাইল দীর্ঘদিন ধরে আটক থাকে। তাছাড়া ভূমি অফিসটির স্বাভাবিক কাজকর্মে নানান জটিলতার মধ্যে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। জ

মি সংক্রান্ত কাজে আসা জয়কৃষ্টপুর গ্রামের আব্দুল ফাত্তাহু মন্ডল ও বাজারদেহা গ্রামের রায়হান শাহ্ জানান, আমি গত কয়েক মাস ধরে নামজারী (খারিজ) ও জমিজমা সংক্রান্ত কাজে দিনের পর দিন ঘুরছি এসিল্যান্ড না থাকায় আমার কাজও সম্পন্ন হচ্ছে না। এদিকে উপজেলার সচেতন মহলের দাবি উপজেলার জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে অতি দ্রুত উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ উপজেলায় এসিল্যান্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়োগ দিবেন।

এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন,এসিল্যান্ড না থাকায় আমার উপরে অনেক চাপ পড়েছে। একজন এসিল্যান্ড নিয়োগ দিলে খুব ভালো হতো। আমি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি যে এসিল্যান্ড নিয়োগ দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।