নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর; জেলার সদর উপজেলার চরমুগরিয়া ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে স্টান্ড রিলিজ দেওয়া হয়েছে। স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষক ফারহানা আক্তার শাম্মীকে  স্ট্যান্ড রিলিজ দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুর সদর উপজেলার পৌর এলাকার চরমুগরিয়া ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইয়ুব খান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলকা রায় কৌশলে বিদ্যালয়ের মালামালসহ অর্থ আত্মসাৎ করেন, যা বিদ্যালয়ের মাসিক প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক ফারহানা আক্তার শাম্মী প্রতিবাদ করে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানান। যা কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।

এ ছাড়া অলকা রায় অনিয়ম করে জাল স্বাক্ষরে মেয়াদ থাকার পরও একটি ভুয়া ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন। এমন দুর্নীতি করে কমিটি গঠন ও বিদ্যালয়ের মালামালসহ অর্থ আত্মসাৎকারী এসএসসি পাস ভারপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক অলকা রায়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে বরং প্রধান শিক্ষক ফারহানা আক্তার শাম্মীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘নতুন কমিটির কাগজে তিনিসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা বেগম- কেউ স্বাক্ষর করেননি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলকা রায় আমাদের সই জাল করে কমিটি দেখিয়েছে। এ জন্য অলকা রায়কে তলব করা হবে।’

তবে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলকা রায় ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইয়ুব খান।

জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফারহানা আক্তার শাম্মীকে বদলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অলকা রায়ের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষরে ভুয়া ম্যানেজিং কমিটি গঠন, বিদ্যালয়ের মালামাল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসহ সরকারি সম্পদ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিজেই হেরে গেলেন এই শিক্ষক। এতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চারিত কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেছে বলে মনে করে সচেতন মহল।

আমাদের বাণী ডট কম/১৭ মার্চ ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।