কিশোরীর সাথে প্রেমের সর্ম্পক করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন প্রেমিক। ঘটনার পর প্রেমিক পালিয়ে গেলে কিশোরী বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ধর্ষকের ভাবি কৌশলে জরুরি জন্মনিরোধক বড়ি খাইয়ে অপবাদ দিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।

কোনো সিনেমার গল্প নয় এটি। এরকম ঘটনাটিই ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বড়াইল গ্রামে। ঘটনার পরদিন শনিবার কিশোরীটি ও তার ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কিশোরীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আল ইসলাম ওরফে আবু মিয়া (২৪) তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে আবু মিয়ার সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। আর সেই সুবাদে আবু মিয়া কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ঘুরাফেরা করেন। পরে গত শুক্রবার ইফতারের পর আবু মিয়া বিয়ের আশ্বাস দিয়ে কিশোরীটিকে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে কিশোরী কোনো উপায় না দেখে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়।

ওই কিশোরী জানায়, বাড়ি থেকে চলে যেতে আবু মিয়ার পরিবার বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। তাড়াতে না পেরে আবু মিয়ার ভাবি পাখি আক্তার একটি বড়ি খেতে চাপ প্রয়োগ করে। খেতে না চাওয়ায় এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজনও বিয়ে করানোর আশ্বাস দিলে বড়িটি খেয়ে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে হুমকি ধমকি দিতে শুরু করেন তারা। পরে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন।

কিশোরীর ভাই জানান, এ ঘটনার পর আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামের মাতব্বররা মীমাংসার আশ্বাস দেন। এ অবস্থায় শনিবার বিকেলে ওই ইউপি সদস্য মীমাংসা করতে পারবেন না বলে জানান। পরে বিকেলে বোনকে নিয়ে থানায় যান।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।