সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ এর নিকট অতীতে যতবার গিয়েছি বলতে শুনেছি,”এমপিও চলমান প্রক্রিয়া। আমি শিক্ষা পরিবারের অভিভাবক। তোমাদের দেখলে চোখের পানি চোখে থাকেনা।”বাস্তবেও দেখেছি উনি জড়িয়ে ধরে চোখের পানি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু যাওয়ার আগে “মৃত্যুফাঁদ” নামক ভুলেভরা অসম একটি এমপিও নীতিমালা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সচিবালয়ে তার যোগ্য উত্তরসূরি বর্ণচোরাদের রেখে গেছেন।

বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃদীপু মনি কদম ফোয়ারায় শিক্ষকদের মাঝে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন এবং বলেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ করে দেবেন। সমস্ত প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য সময় চেয়েছিলেন সর্বোচ্চ দুই মাস।

এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে মাত্র একবার এবং জোর জবরদস্তি করে সাক্ষাৎ হয়েছে দুইবার।প্রাপ্তির খাতা শূন্য।
সহযোদ্ধা বন্ধুগণ,আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন,এই আপন ভোলা মানুষগুলোর কাছ থেকে অল্পসংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে মানবিক আন্দোলন করে কাঙ্ক্ষিত দাবি আদায় করা আদৌ কি সম্ভব?

অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমি বিশ্বাস করি,

যদি প্রত্যেকটি ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা, কারিগরি স্কুল ও কলেজ) থেকে সকল শিক্ষক কর্মচারী রাজপথে নেমে আসে তবে মাঠেই কাঙ্ক্ষিত দাবি আদায় করা সম্ভব।

লেখক: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, পোস্টটি মো. মোকারম হোসেন`র ফেসবুক থেকে নেয়া

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।