প্রাইভেট না পড়ায় ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর হাতের কব্জি ভেঙ্গে দিয়েছেন মো. ইলিয়াস হোসেন নামে এক সহকারি শিক্ষক। সে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী ২৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

মঙ্গলবার আহত শিক্ষার্থীর বাবা শংকর হাওলাদার ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সুবিদখালী গ্রামের শংকর হাওলাদারের সন্তান শুভ হাওলাদার (৯) ওই বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখা পড়া করে।

কয়েক দিন থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন শুভকে প্রাইভেট পড়তে যেতে বলে। কিন্তু শুভ শিক্ষক ইলিয়াস হোসেনের কথায় সায় না দেয়ায়। বারবার শুভ’র মাকেসহ বিদ্যালয়ে আসতে বলেন ওই শিক্ষক। এতেও কাজ না হওয়ায় গত ১৪ জুলাই ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে শুভর ডান হাতের কব্জি ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর শুভকে তার অভিভাবকরা প্রথমে মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে পরবর্তীতে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।

বর্তমানে শুভ বাড়ি ফিরলেও তার হাতের ব্যান্ডেজ রয়েছে। আহত ছাত্রের বাবা সংকর হাওলাদার বলেন, ১৪ তারিখ শিক্ষকের মার খেয়ে বিদ্যালয় থেকে ফিরে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিল শুভ। প্রথমে তাকে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাই সেখানে ডাক্তার এক্স-রে করে দেখতে পান তার হাতের কব্জি ভেঙ্গে গেছে। তাই পরবর্তীতে তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইলিয়াস হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ডাস্টার দিয়ে কখনও শিক্ষার্র্থীদের মারেন না তবে হাত দিয়ে একটু আধটু মারেন বলে স্বীকার করেছেন।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. ফরিদা পারভীন জানান, ঘটনার পরদিন আমি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করে যাচ্ছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জিনাত জাহান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং হাত প্লাস্টার করা শিক্ষার্থীকেও দেখেছি। সাথে সাথে অভিযুক্ত শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব করেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।