প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দুই ধাপের পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও বেশ আলোচনায় এসেছে বিষয়টি। যা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই গলদঘর্ম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এ কারণেই প্রশ্নফাঁস রোধে আরো কঠোর হচ্ছেন তারা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কোন প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবে না। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত রাজস্ব খাতভুক্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে জেলাভিত্তিক মনিটরিং টিম প্রেরণ করার পাশাপাশি এবার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভাগীয় শহরের পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালন করবেন; তাদের সকলকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরাসরি সহযোগিতা নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। গত দুই ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ২৪ ও ৩১ মে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮-এর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চার ধাপে অনুষ্ঠিতব্য রাজস্ব খাতভুক্ত এই নিয়োগে অংশগ্রহণ করছে প্রায় ২৪ লক্ষ চাকরি প্রত্যাশী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।