অধ্যপক মুশিউর রহমান; প্রাথমিকে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজস্ব খাতে নিয়োগ এর সার্কুলার দেয়। কিন্তু পুল প্যানেল এর রিটের কারনে উক্ত পরীক্ষা চার বছর পরে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ১৪ লাখ প্রার্থীর সহিত তখনকার প্রার্থীরা প্রতিযোগিতা করে লিখিত তে ২৯৫৫৫ জন উত্তীর্ন হয়। চার বছর পরে অনুষ্ঠিত  এ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে এসব প্রার্থীরা তখন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর তখন মাত্র ৯৭৬৭ জনকে চুড়ান্তভাবে নিয়োগ দেয়।এতে তখন প্রায় ১৯০০০ প্রার্থী চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়ে কারন এতো বছর পরে পরীক্ষা নিয়েও দপ্তর ১০০০০ এর জায়গাতে ২৩৩ জন কম নিচে এটা দেখে।

উল্লেখ্য ২০১৮ সালের শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরীক্ষা থেকে বিবিসি বাংলা সহ বেশ কিছু পত্রিকার মাধ্যমে ১০০০০ নিয়োগ এর বিষয়টি জানা যায়।তাই বাকি এ পদ গুলোতেও যদি চাকরির বয়স হারানো এসব প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।তাতে দপ্তরের তেমন একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

তাই বঞ্চিত এসব প্রার্থীদের মধ্যে চরমভাবে বঞ্চিত যেসব প্রার্থীর তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠানো হয়েছে তাদেরকে এ মামলার কারনে ও চার বছর লসের ইশ্যুতে মানবিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে মনে করি।

বেকার এসব প্রার্থীদের নিয়োগ দিলে এসব প্রার্থীদের মাধ্যমে জাতী আগামী প্রজন্মের সত্যিকার মানুষ গড়ার কারিগর পাবে বলেও বিশ্বাস করি।তাই মামলার কারনে চার বছর লসের ইশ্যুতে চরমভাবে বঞ্চিত এসব প্রার্থীদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পুরুন সহ তাদের কে বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

লেখক; চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বেকারত্ব মুক্তি আন্দোলন. বিএমএ.

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।