নেত্রকোনার কেন্দুয়া প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে চার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ২৫ প্রধান শিক্ষক এবং ২৯ সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক জানান, একটি পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নে ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষকদের পাঠদান পদ্ধতি ও নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করছে কিনা, তা তদারকি করতে ৭ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ রয়েছে।

কিন্তু ৭টি পদের মধ্যে চারটি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। তাছাড়া ২৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ২৯টি সহকারী শিক্ষকের পদও পূরণ করা হচ্ছে না। অফিসের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সম্পাদন করার জন্য ইউডিএ দুটি এবং অফিস সহকারী একটিসহ তিনটি পদ শূন্য রয়েছে।

জিয়াউল হক বলেন, চার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৫৪ জন শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় লেখাপড়ায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটছে। তবে এসব পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর বারবার চিঠি লেখা হচ্ছে। কিন্তু তেমন কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, শূন্যপদ থাকা প্রাথমিক শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটছে। গত ২৩ জুলাই নেত্রকোনায় উদ্বুদ্ধকরণ সভায় এসেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এই সভায় তাদের শূন্যপদের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে বাজেট সভায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের শূন্যপদের বিষয়টি সভার রেজুলিউশনে উঠেছে। শূন্যপদ পূরণে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে আরেকটি চিঠি দেব।

অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পাঠদান না করে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক দলের পদ-পদবি নিয়ে সেসব কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকেন বেশি। যে কারণে এই উপজেলার প্রায় ৩৪ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর অর্ধেকই সুষ্ঠু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তারা সুষ্ঠু পাঠদান ও তদারকি পাচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।