নিজস্ব সংবাদদাতা, বগুড়া; জেলায় শেরপুর উপজেলার রনক স্পিনিং মিলে বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ সময় পুলিশ ও শ্রমিক সংঘর্ষে পুলিশসহ ১৪ জন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে ২০২০)   সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। শ্রমিকদের নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য এবং লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটে কমপক্ষে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।

গুরুতর আহত সাত শ্রমিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কনস্টেবলদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত চার পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল মহসিন আলী, ইসরাফিল, আবু তালেব ও আনজাম।

এ ঘটনার পর শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রনক স্পিনিং মিলের জিএম ও প্রোডাকশন ম্যানেজারকে প্রত্যাহার করা হলে দুপুর ২টায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়।

জানা যায়, শেরপুর উপজেলার ভবানীপুরে রনক স্পিনিং মিলে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে কিছুদিন মিল বন্ধ রাখার পর আবারও চালু করা হলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। গত মাসের বেতন ও ঈদের আগে বোনাসের দাবি করে আসলেও তারা কোনো আশ্বাস না পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভ শুরু করে।

এক পর্যায়ে শ্রমিকরা সেখানে ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হলে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শ্রমিকরা পিছু হটলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পরে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও রনক স্পিনিং মিলের করপোরেট জিএম আব্দুল কাদের বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া ছাড়াও সংঘর্ষে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলে শ্রমিকরা শান্ত হয় কাজে যোগদান করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে দুই প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেতন-বোনাসের আশ্বাস পেয়ে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে।’

আমাদের বাণী ডট/১৪ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।