বগুড়া সংবাদদাতা;  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও সম্প্রতি সময়ে ভারি বর্ষণে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শুক্রবার যুমনার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপদ সীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই ২০২০)  সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগের দিন বৃহস্পতিবার বিপদসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ১৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩১ হাজার ৩৪২টি পরিবারের ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৭০ জন মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ১২ লাখ টাকা এবং ৪০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা মো: আজাহার আলী জানান, এ পর্যন্ত বন্যায় জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২৫ হাজার ৭৫০ পরিবারের ১ লাখ ৩০০ জন, সোনাতলা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৯৭০ পরিবারের ২২ হাজার ২৫০ জন এবং ধুনট উপজেলার ২টি ইউনিয়নের ৬২২ পরিবারের ২ হাজার ৯২০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৮ হাজার ৮৩১ হেক্টর ফসলি জমি।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ ৮ লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকারও শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকাসহ মোট ১২ লাখ টাকা এবং ৪০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সারিয়াকান্দি সংবাদদাতা জানান, গৃহহারা পরিবারগুলো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ উঁচু স্থানে গবাদি পশু, হাঁস মুরগী নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তার সাথে ইউএনও রাসেল মিয়াসহ সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আমাদের বাণী ডট কম/১৭  জুলাই ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।