সংখ্যা তত্ত্বে  কৃত গণনায় ক্রমিকে সংখ্যা ১-৯ পর্যন্ত। এ ক্রমিকে ৯(নয়) বৃহৎ। এখন ভাবুন শূন্য থেকে আসে পূর্ণ ১। আর সব ক্ষেত্রে প্রতিযোগী দের টার্গেট ১। আর ১ আপনার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। এখন আবার ভাবতে পারি আমরা ১ (এক)  না  ৯ (নয়) হওয়ার মধ্যে কোন সংখ্যা কে প্রাধান্য দেওয়ার প্রতিযোগী।

এখন বলুন শ্রেষ্ঠত্বের যোগ্যতায় ১ (এক) থাকবে না  ৯ (নয়)। এবার উত্তর দিন ক্রমিক  সংখ্যায় ১ (এক)  লঘু তে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করবে?।  সে একই যোগ্যতায় ৯ (নয়) ক্রমিকে?। এক শ্রেণির নেতৃত্ব সংখ্যায় কম সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে সংখ্যা  লঘু বলে। এ কম সংখ্যক  কে দূর্বলতার প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কারণ এক শ্রেণির নেতৃত্ব গুণ স্বার্থ অন্ধে অর্থ খোঁজ করতে আগ্রহী। তাই ঐ অযোগ্য  নেতৃত্ব  অন্যদের প্ররোচিত করে হীন মন্যতায় ভুগতে।

উপরোক্ত কথা গুলো সংখ্যার অর্থে শ্রেষ্ঠ কোন সংখ্যার জন্য  প্রযোজ্য মন্তব্য। নিজে কে প্রমাণ করুন যোগ্যতার মাপকাঠি তে। যোগ্যতায় ১  (এক) ক্রমিক  সংখ্যায় বৃহৎ অংশের প্রতিনিধি। আমরা জাতির জনক  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  একক( ১) নেতৃত্বে  স্বাধীন সার্বভৌম   বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত পেয়েছে । পৃথিবীর মানচিত্রে পেয়েছে মর্যাদার জায়গা। আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আমাদের এক ও অভিন্ন একটি জাতীয় স্বত্তা।

সুতরাং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শত বার্ষিকীর সময় গণনায়  আমাদের প্রত্যাশা রাষ্ট্রের সকল সাধারণ নাগরিকের প্রতি। সামাজিক মানবিক অবক্ষয় রোধে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি অতি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে । এক মাত্র পরিবারই পারে তার পরিবারের সকল সদস্যদের  সমাজের সামাজিকতা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করতে। মাদকতা সহ নষ্ট পথে পা বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে। এ ক্ষেত্রে শুধু পরিবার প্রধান সকল সদস্যদের প্রতি সঠিকভাবে  খোঁজ নিয়ে থাকলে, অন্তত অপরাধ প্রবণতার সূত্রপাতের জায়গা গুলোয়  সমাজের অধিকাংশ অপরাধ হ্রাস পাবে। আজকে পারিবারিক বন্ধন অনেক টা হায় হ্যালো তে রুপায়িত হয়ে পড়েছে। এর কারণ সমাজে অসম অসীম প্রতিযোগীতা। প্রতিযোগীদের এক মাত্র লক্ষ্য যে কোন উপায়ে অর্থ উর্পাজন। অর্থকে ক্ষমতার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা, আধুনিক বিশ্বের অন্যতম বিবেচ্য বিষয় বলে মনে করা হয়। এ কারণেই বোধহয়  উপার্জনের লাগামহীন অসম প্রতিযোগীতা নিঃসন্দেহে সমাজে বিভিন্ন অস্থিরতা তৈরি করছে। ফলে বাড়ছে এক সামাজিক অশুভ বিভক্তি। এ পাগলা ঘোড়ার দৌড়ে  ধর্মীয় আচরণ অনুষ্ঠানের মর্মবাণী না বুঝে  লোক দেখানো প্রতিপালন। অপসংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হওয়া সহ কুপথের সকল মাধ্যমে প্রবেশ, আজ এক একটা ভিন্ন ভিন্ন বিকারগ্রস্ত ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। যার দায় ভার রাষ্ট্রের সুনাম বহিঃবিশ্বের সম্যক পরিসংখ্যানে যোগ হচ্ছে।

অথচ আমাদের দেশ প্রকৃতির রাণী, সুজলা, সুফলা, শষ্য শ্যামলা,নদী মাতৃক, পাহাড় বেষ্টিত এক অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি। আমরা এ প্রকৃতির সন্তান। আমাদের রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব বোধ,আতিথীয়তার আদর। সবচাইতে প্রিয় ডাক মা-বাবা বলে ডাকার স্বর্গীয়  অনুভূতি।এত অপার সম্ভার থাকার প্রয়োজনীয় সকল বিষয়ে দূর্বার গতি তে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি বাংলাদেশ। আর আজ মুজিব বর্ষের শত বার্ষিকী’তে এ হউক আমাদের চেতনা দীপ্ত  দৃষ্টি নিয়ে পথ চলার দৃঢ় শক্তির উৎস।

আসুন  বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, সমৃদ্ধ ও উন্নয়নে দেশকে উন্নত  সকল সূচকের  অগ্রযাত্রায় নিতে যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার শামিল হই।  সবাই মিলে ধর্মীয় চেতনায় পারিবারিক সচেতনতা তৈরি করি। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি বাদ,মৌলবাদ, ঘুষ ও দূনীর্তি মুক্ত সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা  এক (১) ও অভিন্ন লক্ষ্যে মানবিক চেতনায়  মূল্যবোধ কে জাগ্রত করেই একসাথে গায় আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।

লেখক,  সাধারন সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ সনাতনী কল্যান সংঘ।

আপনিও লিখতে পারেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী নিয়ে গল্প কবিতা, রচনা কিংবা পাঠক প্রিয় মতামত কলামে। লেখা পাঠাতে পারেন চিঠির মাধ্যমে ডাকযোগে অথবা ইমেইলে। ইমেইল; [email protected] চিঠি পাঠাতে পারেন, আমাদের বাণী অফিস,  (৪র্থ তলা) ১১০ এলিজা টাওয়ার, ফকিরাপুল ঢাকা-১০০০ এই ঠিকায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।