কক্সবাজারের কুতুবদিয়া বঙ্গোপসাগরে ক্লিংকারবাহী ২টি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই জাহাজ থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত দশজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে এই জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

তবে, তাৎক্ষণিকভাবে নিখোঁজদের পরিচয় বা জাহাজডুবির কারণ জানা যায়নি।

এদিকে গতকাল বঙ্গোপসাগরে অপর এক জাহাজডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে সাতজন। গমবোঝাই ‘এমভি পাটগাটি-২’ নামের ওই জাহাজের সাত নাবিক ও শ্রমিককে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হন সাতজন।

সোমবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সন্দ্বীপ ও ভাসানচরের মাঝামাঝি সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় ডুবুরি দল।

ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাবিক মো. নুরউদ্দিন জানান, গম বোঝাই করে রাত ১টার দিকে কর্ণফুলী নদী থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় ‘এমভি পাটগাটি-২’ জাহাজটি। সন্দ্বীপ ও ভাসানচরের মাঝামাঝি সাগরে এমভি আবদুল্লাহ আল আসিফ-১০ জাহাজের সঙ্গে ‘এমভি পাটগাটি-২’ এর সজোরে ধাক্কা লাগে।

এতে তাদের জাহাজটির তলা ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। এ সময় ১৪ নাবিক-শ্রমিক লাইফ বয়া নিয়ে সাগরে ঝাঁপ দেন। পরে অন্য একটি জাহাজের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। তবে জাহাজে থাকা আরও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।

সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, এমভি আবদুল্লাহ আল আসিফ-১০ জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তলা ফেটে ডুবে যায় ‘এমভি পাটগাটি-২’ জাহাজটির। ওই জাহাজে এক হাজার ১০০ টন গম ছিল। নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এখন দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে সন্ধান চালাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।