বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষদের পাশে না দাঁড়িয়ে টিভির সামনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ করছে। তারা ইভিএমে বিশ্বাসী নয়, তারা ইভিএমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি হেরে গেছে। ইভিএমে ভোট দেয়া আজ বিশ্বস্বীকৃত আধুনিক পদ্ধতি। বিএনপি ডিজিটাল বাংলাদেশ চাইছে না, তারা চায় এনালগ বাংলাদেশ। অর্থাৎ দেশকে সামনের দিকে নয় পিছনে ঠেলে দিতেই তারা রাজনীতি করছে। যেহেতু বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে না, সে কারণে তারা শীতার্ত মানুষের পাশে নেই। তারা জনগণের সঙ্গে অতীতেরও ছিল না আজও নেই। শেখ হাসিনার আমলে দেশের প্রতিটি নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা পকেট ভরার রাজনীতি করে না। বিএনপি কোটিপতি লুটেরাদের সঙ্গে থাকেন, তাদের রাজনীতি ক্ষমতার রাজনীতি।

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি ২০২০) দুপুরে সৈয়দপুর শহরের ফাইভ স্টার মাঠে আয়োজিত রংপুর বিভাগের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওইসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ প্রমুখ। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রোকেয়া সুলতানা, আনিসুর রহমান, অ্যাড. হোসনেআরা লুৎফা ডালিয়া, সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীমসহ রংপুর মহানগরসহ আট জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেন, রংপুর বিভাগের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো শীতবস্ত্র দেয়া হবে। একজন মানুষ যেন শীতে কষ্ট না পায় সেই ব্যবস্থায় শেখ হাসিনা করেছেন। তিনি আরও বলেন সৈয়দপুরে আটকেপড়া বিহারীদের পুনর্বাসনে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন, যেসব আটকেপড়া পাকিস্তানী রয়েছে তারা ভোটাধিকার পেয়েছে, তারা এ দেশের নাগরিক। উর্দুভাষী বিহারীরা এদেশের নাগরিক হিসাবেই বসবাস করবে।

শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রংপুর মহানগরসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সাধারণ সম্পাদকের হাতে ৫০ হাজার কম্বল তুলে দেন। বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের ডাকবাংলায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি দলের সাংগঠনিক বিষয়ে নেতাদের দিক নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে সৈয়দপুর ত্যাগ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।