বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা; জেলার  বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৫ মে ২০২০)  রাত ৯টার দিকে পলোয়ানপুল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। তারা হলেন, কালা রতন, জাবেদ ও রুবেল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা খোকনের তিন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গুলিবিদ্ধ তিনজন আমানউল্যাহপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরিফের সমর্থক। তারা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হুদা খোকনের সমর্থকরা ১৫-১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে একটি শোডাউন বের করে। শোডাউনটি পলোয়ানপুল এলাকায় পৌঁছলে আমানউল্যাহপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতির সমর্থকরা তাতে বাধা দেয়। এতে সাধারণ সম্পাদক খোকনের লোকজনের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় খোকনের লোকজন এলোপাতাড়ি গুলি করলে আরিফের তিন সমর্থক গুলিবিদ্ধ ও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আরও ৫জন আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় ৩-৪টি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই সংঘর্ষকারীরা পালিয়ে যায়।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন, আইয়ুবপুর গ্রামের সফি উল্যার ছেলে মিজানুর রহমান পলাশ (৩০), পশ্চিম জয়নারায়ণপুর গ্রামের আবু ছায়েদের ছেলে মো. হৃদয় (১৯) ও মহেষপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে পারভেজ (২৭)।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরিফ ও খোকন গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।