আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা; জেলার আগৈলঝাড়ায় মুক্তি রানী বৈদ্য নামে এক গৃহবধূকে তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।

গতকাল সোমবার (২৫ মে ২০২০)  রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

  • থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্মপুর ইউনিয়নের থানেশ্বরকাঠী গ্রামের সুমল বৈদ্যর মেয়ে মুক্তি রানী বৈদ্যর (১৯) সঙ্গে ১০ মাস আগে ভালোবেসে পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে হয় একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী রত্মপুর গ্রামের খোকন সমদ্দারের ছেলে মিথুন সমদ্দারের। পরবর্তীতে সামাজিকভাবেও তাদের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে মিথুনের পরিবারের লোকজন তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে মুক্তি রানীর বাবা সুমল বৈদ্য অপারগতা জানায়। যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময়ে মুক্তি রানীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত।

  • গতকাল সোমবার সুমল বৈদ্য মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে মুক্তি রানী তার বাবার কাছে যৌতুকের তিন লাখ টাকা না চাওয়ায় রাত ৯টার দিকে স্ত্রীকে মারধর করেন মিথুন। এ সময় মুক্তি রানী যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিথুন তাকে পরিকল্পিতভাবে পরিবারের লোকজন নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য বরিশাল মর্গে পাঠায়।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা সুমল বৈদ্য বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী মিথুন সমদ্দার, তার বাবা খোকন সমদ্দার ও মা রিনা সমদ্দারকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৬ মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।