লাল মিয়া মৃধা। বয়স সত্তর বছর। কোমর সোজা করে দাড়ানোর শক্তি নেই। বয়সের ভারে অনেকটা নুয়ে চলতে হয় তাকে। শরীরের চামড়ায় ঘোচ পড়ে গেছে। শরীরে অনেক রোগের বাসা বেধেছে। বর্তমানে ভিক্ষা করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন তিনি। বেশি দুর পর্যন্তু হাটতেও পারেননা। ভিক্ষা করে যে টাকা পান তা দিয়ে কোন রকম জোগাড় হয় দুবেলার খাবার। এক বেলা থাকেন না খেয়ে।

জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ছোনখোলা গ্রামের মৃত করিম মৃধার ছেলে লাল মিয়া। এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে বেশ ভালই কাটছিল তাদের সংসার। মেয়েদের বিয়ে দেয়ার পর অনেকটা নি:স্ব হয়ে পড়েন তিনি। বয়সের ভারে বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর স্ত্রীও তাকে ফেলে চলে যায়। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ক্ষুধার তাড়নায় নেমে পরেন ভিক্ষায়। পরে বার বার বয়স্ক ভাতার জন্য মেম্বর চেয়ারম্যানের কাছে ধর্না ধরেছেন। অনেক আকুতি মিনুতির পরেও তার ভাগ্যে যোটেনি বয়স্কভাতা।

লাল মিয়া জানান, আয় রোজগার বন্ধ হওয়ার পর পরিবারের সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। বয়স্ক ভাতার জন্য চেয়্যারমানের কাছে গিয়েছি। কয়েকবার মেম্বরের বাড়ি পর্যন্ত গেছি। তারা শুধু বলে হবে। মনে হয় আমি মরার পর হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন জানান, ষাট বছরের উপরে যাদের বয়স হয়েছে, তাদের নাম লিষ্ট করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেয়ার জন্য ইউপি সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর লাল মিয়ার নাম লিষ্ট হয়েছে। আশা করছি সে বয়স্ক ভাতায় অন্তর্ভুক্ত হবে।

কলাপাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান,বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার একমাত্র এখতিয়ার ইউনিয়ন কমিটির। ইউনিয়ন কমিটি লাল মিয়ার নাম মিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।