তলব উত্তর উপজেলা (চাঁদপুর)  সংবাদদাতা; জেলার জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. বখতিয়ার হোসেন কর্তৃক মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন যাবৎ জেলা কর্মকর্তা মতলব উত্তর উপজেলা কর্মকর্তা ডা. মোঃ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছেন বলেন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলা কর্মকর্তার

উপজেলা প্রাণী ডা. মোঃ ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে নিয়ে একটি মহল যে মিথ্যা ঘটনা রটাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসব ঘটনার সাথে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন জড়িত আছে। মূলত তারাই আমাকে হেও করার জন্য এমন ষড়যন্ত্র করেছে বলে আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

গত ৭ জুলাই বিকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ফারুক হোসেন যান উপজেলা তথ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে সেখান বিদায় নিয়ে বের হওয়ার আগে তিনি বাথরুম ব্যবহারের জন্য গিয়েছেন। কিন্তু তথ্য কর্মকর্তা ভেবেছেন তিনি চলে গেছেন, তাই তিনি অফিসের গেট তালা দিয়ে বাসায় চলে যান। কিন্তু প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অফিসের ভিতরেই থেকে যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ছেঙ্গারচর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আঃ মান্নান বেপারী ও স্থানীয় সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম তাকে বের করে আনেন। এই বিষয়টি একটি মহল চারিদিকে নারী কেলেঙ্কারি হিসেবে ছড়িয়েছে। আর তাতে সায় দিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে এসে যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন তাদের কোন বক্তব্যই নেননি জেলা অফিসার। যারা ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিল না, তাদের মধ্যে আমার অফিসের কিছু ষ্টাফকে জোড়পূর্বক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঈর্শান্বিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন। যা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের একটি বহিঃপ্রকাশ।
এদিকে এ ঘটনাটি তদন্ত করতে সোমবার চট্টগ্রাম প্রাণী সম্পদ বিভাগীয় উপ-পরিচালক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ আসেন ঘটনাস্থলে। এ ঘটনা বা তদন্তের ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সম্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীতে আমরা আপনাদেরকে জানাবো।

এদিকে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অডিও রেকর্ডে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেন বলেছেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অনেক দূর্নীতি করেছে। ৮৫ জন অস্থায়ী কর্মচারীর মধ্যে ৭৪ জন কর্মরত আছে, বাকীদের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। এছাড়া এনএটিপি প্রকল্পের ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ’সহ বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তিনি। এসব ব্যাপারে উপজেলা কর্মকর্তাদের কোন খোঁজ খবর রাখেন না স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানগণ। এসব ব্যাপারে অডিও রেকর্ডে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও দোষী করেছেন।

অডিও রেকর্ডের এসব কথার ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বখতিয়ার হোসেনের কাছে জবাব চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী হন। মতলব উত্তর উপজেলা উপ-সহকারি প্রাণী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত নেই বলে দাবী করেন।

আমাদের বাণী ডট কম/১৩ জুলাই  ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।