প্রকৌশলী সাব্বির হোসেন; ‘এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান’ পরিশুদ্ধ সুকান্তের অমর বাণী এখন মানছেনা অনেকেই। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা ও উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের তেমন কোন সুযোগ দিচ্ছেনা বলাই চলে। অথচ মাউশি প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে এ বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করেছে।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তাদের নানা অনুষ্ঠানে দেখা যায় শিক্ষকই পরিকল্পণা ও উপস্থাপনার কাজ করে থাকে এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বে ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। ক্রমাগত এমন চিত্র নতুন প্রজন্মকে অনেকটাই পেছনে ফেলে দিচ্ছে। সৃজনশীল হওয়ার সুযোগ মিলছেনা বলেই মনে করে শিক্ষার্থীরা। ফলে সমাজের নানা স্তরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘুরেফিরে দুএকজনই উপস্থাপনা কিংবা পরিচালনা করছে। এতে করে ব্যহত হচ্ছে মেধার বিকাশ, গুণগত বক্তা ও শ্রোতাও তৈরি হচ্ছেনা।

এতে করে এখন আর বক্তৃতা শোনার মানুষ নেই, ফলস্রোতিতে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় পর্যায়ে পাতী নেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই বেছে নিচ্ছে আর উপস্থিত গণনাকারী বক্তারা বিরক্তিকর বক্তব্য পেশ করে শিক্ষার্থীদের তা হজম করতে বাধ্য করছে। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছা সত্তেও এমন অনুষ্ঠান চলছে।

এমনকি তাদের ধমক প্রদান করে হলেও অখাদ্য বক্তৃতা শোনানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও মধ্যরাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে এসব অনুষ্ঠান চলে। কথা হলো যাদের যে কাজ তা করতে না দেওয়া হলে আগামী প্রজন্ম কিভাবে নিজেদের গড়ে তুলবে? একটি অনুষ্ঠান পরিকল্পণা থেকে শুরু করে তার আয়োজন, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করার সুযোগ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

এতে করে তারা হয়ে উঠবে সেরা ইভেন্ট ম্যানেজার কিংবা সফল আয়োজক অথবা দেশ সেরা উপস্থাপক। আর গ্লোবালাইজেশনের এই সময়ে সুদক্ষ জনসম্পদ একটি রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য উপাদান। পরিতাপের বিষয় হলো সরকার তা অনুধাবন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে যুবসমাজেও। এ বিপর্যয় থেকে প্রজন্মকে রক্ষা করতে তাই দ্রুতই শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির নির্দেশ বাস্তবায়ন জরুরি। লেখক; প্রকৌশলী সাব্বির হোসেন, শ্রীপুর-গাজীপুর।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪ মার্চ ২০২০/পিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।