মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এ তিন অভিশাপকে ধ্বংস করতে কাজ করছে র‌্যাব। শুধু ব্যবসায়ী নয়, যারা মাদকের পেছনে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থায়ন করেছে তাদের বিরদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে র‌্যাব-৮ আয়োজিত ‘বীচ ম্যারাথন’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা কক্সবাজারে একটা শক্ত অবস্থান নিয়েছি। কক্সবাজার দিয়ে মাদক আসা কঠিন ব্যাপার। এখন মিজোরাম দিয়ে আসাম-মেঘালয় হয়ে সিলেট দিয়ে মাদক প্রবেশ করানোর চেষ্টা করেছে। ওখানেও ব্যবসায়ীদের আমরা গ্রেফতার করেছি। এরা যতই অপচেষ্টা করুক আমাদের সক্ষমতা দিয়ে তাদেরকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।

বেনজির আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও মাদক উদ্ধার করেই মাদককে দমন করা যাবে না। যতদিন সমাজে ডিমান্ড থাকবে ততদিন পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে সাপ্লাই আসবেই। সাপ্লাই বন্ধ করতে হলে ডিমান্ড বন্ধ করতে হবে। ডিমান্ড বন্ধ হলে অটোমেটিক্যালি সাপ্লাই কমে আসবে।

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের একটা ছোট অংশ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এক শ্রেণির রোহিঙ্গা এতো ডেসপারেট যে, তারা জিরো লাইন অতিক্রম করে, মাইন উপেক্ষা করে মাদক নিয়ে আসে। কক্সবাজারে র‌্যাব-১৫ প্রতিষ্ঠার পর এক বছরে ৪০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার ও বন্দুকযুদ্ধে ৫ থেকে ৬ জন নিহত হয়েছেন। তবে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বহুমুখী নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করছে বলে মনে করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।