কুষ্টিয়া জেলা সংবাদদাতাঃ ছিলেন ছাত্রদল নেতা। সময়ের পরিক্রমায় পদত্যাগ না করেই হয়ে যান যুবলীগের আহবায়ক কুষ্টিয়া প্রতারক চক্র সুজন।

এরপর পদের দাপটে কামাতে থাকেন কাড়ি কাড়ি টাকা। এমন ভেলকি দেখিয়েছেন, কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহবায়ক আশরাফুজ্জামান সুজন। প্রতারক চক্র গড়ে তুলে অন্যের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজি, চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ উঠলে বিলুপ্ত করা হয় যুবলীগের কমিটি।

২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত কুষ্টিয়ার মিলপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুজ্জামান সুজন ছিলেন ছাত্রদলের নেতা। এখনও বহাল সেই কমিটি। তবে ভোল পাল্টে পদত্যাগ না করেই, সুজন রাতারাতি হয়ে গেছেন শহর যুবলীগের আহবায়ক।

অভিযোগ রয়েছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাগিয়ে নেন, গুরুত্বপূর্ণ এই পদ। পদ পেয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি সুজনকে। প্রতারক চক্র গড়ে তুলে চালাতে থাকেন একের পর এক অপকর্ম। ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে অন্যের জমি বিক্রি, ভুয়া দলিলে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাভাবে গড়ে তোলেন বিপুল অর্থবিত্ত। তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন যুবলীগের নেতাকর্মীরাও।

এই চক্রের আরেক সদস্য বেঙ্গল হার্ডওয়্যারের মালিক মহিবুল ইসলাম। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

নানা মহলের প্রশ্ন, কিভাবে ছাত্রদল থেকে শহর যুবলীগের পদ বাগিয়ে নিলেন সুজন? জেলা যুবলীগ সভাপতি রবিউল ইসলামের উত্তর, আওয়ামী লীগের এক নেতার হাত ধরেই এই অনুপ্রবেশ।

কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির অভিযোগে চক্রের সবাইকে ধরতে অভিযান চলছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে অন্যের জমি বিক্রি নিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে সংবাদ প্রচারের পর আশরাফুজ্জামান সুজনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার হলেও, পলাতক মহিবুল ইসলাম।

আমাদের বাণী ডট কম/১১ সেপ্টেম্বর ২০২০/পিপিএম

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।