নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা; করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

আজ সোমবার (০১ জুন ২০২০) নিজেই এ তথ্য জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

  • তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। তবে আমার স্পষ্ট কথা, যে ওষুধ সাধারণ করোনা রোগীরা কিনতে পারবে না, সেই ওষুধ দিয়ে আমি চিকিৎসা করব না। তার মানে ১৯৮২ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটি মোতাবেক ওষুধের মূল্য সরকার ঠিক করে না দিলে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে দেশবাসীর ক্ষতি করব না। যে ওষুধ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে নেই, সেই ওষুধ আমাকে বিনা পয়সায় দিলেও চিকিৎসা করাব না।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট ‘জি র‌্যাপিড ডট ব্লট’ এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

  • এ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির এই ক্রাইসিসে আরও সিরিয়াস হওয়া উচিত ছিল, তা তারা করছেন না। আমাদের গণস্বাস্থ্য থেকে দেওয়া ৪০০ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা হয়ে গেছে। এই কিটের পরীক্ষার ভিত্তিতে তো তারা প্রতিবেদন দিতে পারত।’

সরকার চাইলে এক মুহূর্ত দেরি হতো না। সরকার একাই সব ভালো কাজ করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (০১ জুন ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৬৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৮১ জন । এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৯ হাজার ৪৭ হাজার ৫৩৪  জনে। দেশে ৫২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১০৪টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৯টি। আক্রান্তের হার ২০.৮১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮১৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন। সুস্থতার হার ২১.৩৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৯ জন ও নারী তিনজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, সিলেট বিভাগের দুইজন ও বরিশাল বিভাগের একজন। বয়স বিশ্লেষণে জানা যায়, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন ৪১-৫০ আটজন, ৫১-৬০ চারজন, ৬১-৭০ সাতজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন, বাড়িতে পাঁচজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন।

আমাদের বাণী ডট কম/০১  মে ২০২০/সিসিপি 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।