সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবীর শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে প্রতিদিনের ইফতার আয়োজন মুসলমানদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। নানা দেশের হাজার হাজার প্রবাসীদের মাঝে আমাদের দেশীয় অসংখ্য প্রবাসীও এ ইফতার জমায়েতে ইফতার করেন। এখানে প্রতিদিন গড়ে পঁচিশ হাজারের অধিক লোক ইফতার করতে আসেন।

বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারে এসংখ্যা ত্রিশ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই তিনদিন ফ্রিতে এ বিপুল সংখ্যক রোজাদারদের ইফতার করানো হয়। সারিবদ্ধভাবে বসে নারী-পুরুষ-বাচ্চারা মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর ইফতার সারেন।

বড় সাইজের একটি প্যাকেট থাকে। সেখানে থাকে রমজানের অতি পরিচিত ও প্রিয় খেজুর থেকে শুরু করে নানা ধরনের মেনু থাকে। যেনতেনভাবে কাজটি সম্পন্ন হয় না। এর পেছনে কাজ করেন শেফ, সহযোগী এবং অন্যান্য স্টাফসহ এক হাজার সদস্যের বিরাট এক বাহিনী। পুরো রমজানে এই সেবা দেয়া হয়।

এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। প্রথম রোজা থেকেই চলছে বিশাল আয়োজন। এত মানুষের খাবারের আয়োজ তো আর যেকোনো স্থানে সম্ভব নয়। কাজটি হয় আবুধাবির আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ক্লাব অ্যান্ড হোটেলের কিচেনে। দুই তলা পাকের ঘরটি ঝকঝকে পরিষ্কার। এত মানুষের কর্মযজ্ঞ চলে, তবুও কোনো হইচই নেই। সেখানে ধোয়া, কাটাকুটি, রান্না ইত্যাদি চলছেই।

এই রসূঁইঘরের কোনো অংশ হয়তো যন্ত্র দিয়ে ৫০ কেজি পেঁয়াজ কাটছে। অন্য তিনটি অংশ হয়তো মুরগি আর অন্যান্য সবজি কাটতে ব্যস্ত। আরেকটি অংশ হয়তো চাল সেদ্ধ করছে। ২০-৩০ হাজার মানুষের ইফতারের জন্যে প্রতিদিন প্রচুর জিনিসপত্র লাগে। এখানে ১০ টনের মতো মুরগির মাংস, ৬ টন ভেড়ার মাংস, ৭ হাজার কেজি চাল, এক হাজার ৬০০ কেজি সবজি মিশ্রণ, ৬০০ কেজি টমেটো এবং ৪০০ কেজি পেঁয়াজ দরকার হয়।

দারুণ সুদৃশ্য প্যাকেট। সেখানে লেখা শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মস্ক সেন্টার। প্রতিটা প্যাকেটে থাকে বিরিয়ানি, কারি, একটা শক্তিবর্ধক পানীয়, খাবার পানি, আপেল, খেজুর, জুস, লাবান এবং সালাদ। আর এই ইফতার একেবারে ফ্রিতে খাওয়ানো হয় রোজদারদের।

ভিডিও-তে দেখে নিন রমজান মাসজুড়ে দুবাইয়ের শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের এই অনন্য আয়োজন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।