নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা;  রাজধানীর আদাবর থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, তার স্বামী তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

গতকাল সোমবার আদাবরের নিজ বাসা থেকে আফরিন আক্তার মুন্নি (২৮) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী নজরুল ইসলাম রবিন আদাবর থানায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদাবর থানা পুলিশ জানায়, আদাবর থানার কাছের একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন এএসআই নজরুল ইসলাম রবিন। পারিবারিক কলহের জেরে গতকাল সোমবার ৫টার দিকে ওই বাসার একটি কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে আফরিন গলায় ফাঁস দেন। পরে খবর পেয়ে আদাবর থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

গৃহবধূ আফরিনের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

জানতে চাইলে আফরিনের বাবা হাজী আবুল কালাম বলেন, ‘নজরুলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। মোবাইলে আফরিন তা দেখে ফেলায় নজরুল তার (আফরিন) ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত দুই বছর ধরে এগুলো নিয়ে তাদের পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুল প্রায়ই আফরিনকে মারধর করতো। গত রোববারও নজরুল আফরিনকে বেধড়ক পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। সে পুলিশ, তার কিছুই হবে না বলেও হুমকি দেয়। আফরিনকে মেরে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার পর আদাবর থানা পুলিশও বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করেন। নজরুলের সহকর্মীরা বিষয়টি এখনো অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।’

তবে আফরিনের বাবার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এএসআই নজরুল। তার দাবি, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ ব্যাপারে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহেদুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে এএসআই নজরুলের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

আমাদের বাণী ডট কম/০৫ মে ২০২০/ভিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।