নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী; জেলার পাংশা উপজেলায় আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই নিয়ে উপজেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯  জনে এবং জেলায় ৫৩ জনে।

এর আগে গতকাল শনিবার (২৩ মে ২০২০) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম একইদিনে ২৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হবার তথ্য জানান।

বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা বড় ধরনের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদে জেলার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঘরমুখো হাজারো মানুষ যাতায়াত করছে । ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে বলেও ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম জানান, গত ২০ মে ঢাকায় ১২১ জনের নমুনা পাঠানো হয়। রাতে তাদের রিপোর্ট আসে। এতে দেখা যায় ২৫ জনের করোনা পজিটিভ।

গতকাল রাত ও আজ আক্রান্তদের মধ্যে রাজবাড়ী শহরসহ সদর উপজেলার ছয়জন, বালিয়াকান্দির ১০ জন এবং পাংশার ২ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর, সদর উপজেলার উড়াকান্দা, দর্পনায়ারপুর ও কামালপুর, বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের সাধুখালী গ্রামে ৯ জন ও বাকসাডাঙ্গী গ্রামে একজন এবং পাংশা শহরের নারায়ণপুর গ্রামে একজন, মৈশালায় একজন, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী , কলিমহরে দুইজন, জয়কেষ্টপুর গ্রামের দুইজন, চর ঝিকরীতে একজন ও মৌরাটে একজন  এবং বাহাদুরপুরের রঘুনন্দনপুর ৪ জন  শনাক্ত হয়েছে।

নতুন করে পাংশার ৪ জন শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইউএনও রফিকুল ইসলাম।

সিভিল সার্জন জানান, এখন থেকে হোম আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসা করার সরকারি নির্দেশ রয়েছে। অযথা ভয় এবং সামাজিক ভীতি না সৃষ্টি করতে সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২৩ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয় হাজার ৯৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১০ হাজার ৮৩৪টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো দুই লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ৮৭৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২০ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৬ হাজার ৪৮৬ জন। সুস্থতার হার ২০.২২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪১ শতাংশ। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, পুরুষ ১৬ জন ও নারী চারজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে চারজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৮৬ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় দেয়া হয়েছে ৪১ জনকে।

আমাদের বাণী ডট কম/২৪ মে ২০২০/ডিডিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।