মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসে রাজাকারের তালিকায় আমার নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। এটা দেখার থেকে আমার মরে যাওয়া ভালো ছিল।

মঙ্গলবার সকালে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা সুধীর কুমার চক্রবর্তীকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১২ আগস্ট পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওয়াপদা বধ্যভূমিতে হত্যা করে।

তপন কুমার বলেন, তার বাবার লাশ পর্যন্ত পরিবারকে দেয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পরে সুধীর চক্রবর্তীকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিও দেয়া হয়। বাবার মৃত্যুর পর আমি সেপ্টেম্বর মাসে ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে যাই।

তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে দেশে ফিরে ৯নং সেক্টরে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরিশাল জেলায় সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেটে আমার নাম প্রকাশিত হয়।’

‘এখন ৪৮ বছর পর এসে রাজাকারের তালিকায় আমার নাম এবং আমার মা ঊষা রানী চক্রবর্তীর নাম এসেছে। এতে আমি মর্মাহত এবং বলার কোনো ভাষা নেই।’

প্রসঙ্গত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

গত রোববার প্রকাশিত ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী নাম পাওয়া যায়।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তার মেয়ে ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।