রি-রোলিং শ্রমিকদের ন্যায্য মুজুরি, নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র এবং ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

সোমবার সকাল ১১ টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কেন্দ্রে অধিকার বঞ্চিত রি-রোলিং মিলের শ্রমিক: করণীয় কী? শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান।

খালেকুজ্জামান বলেন, রি-রোলিং শ্রমিকরা শ্রম আইনের সুরক্ষা সুবিধা পায় না। শ্রম আইনে উল্লেখ থাকলেও বেশিরভাগ কারখানার শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র নেই। নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র না থাকায় যখন-তখন চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়। রি-রোলিং মিলের শ্রমিকরা আইনসঙ্গত পাওনা ও সুরক্ষা নিয়ে মালিকের সাথে কথা বলার ক্ষমতাও রাখে না। ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের কথা কাগজে লেখা থাকলেও বাস্তবে তা নেই। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ অনুপস্থিত রি-রোলিং মিলগুলোতে। তিনি দাবি করেন কর্মস্থলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, আজীবন আয়ের সমান মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মস্থলে ঝুঁকিভাতা দিতে হবে। শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক রেশন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, রি-রোলিং শ্রমিকরা শ্রম আইনের সুরক্ষা সুবিধা পায় না। শ্রম আইনে উল্লেখ থাকলেও বেশিরভাগ কারখানার শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র নেই। নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র না থাকায় যখন-তখন চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়। রি-রোলিং মিলের শ্রমিকরা আইনসঙ্গত পাওনা ও সুরক্ষা নিয়ে মালিকের সাথে কথা বলার ক্ষমতাও রাখে না। ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারের কথা কাগজে লেখা থাকলেও বাস্তবে তা নেই। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ অনুপস্থিত রি-রোলিং মিলগুলোতে। তিনি দাবি করেন কর্মস্থলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা, আজীবন আয়ের সমান মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মস্থলে ঝুঁকিভাতা দিতে হবে। শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক রেশন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ৫ বছর পর পর মজুরি ঘোষণা করার আইন থাকলেও রি-রোলিং সেক্টরে ২০১১ সালের পর মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়নি। ইতিমধ্যে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে কিন্ত সেখানে এমন একজনকে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে যার রি-রোলিং সেক্টরের শ্রমিকদের সাথে কোন সম্পর্ক নাই। শ্রম আইন অনুযায়ী মজুরি বোর্ড গঠন হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে মজুরি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ঘোষণা করার কথা কিন্তু এখন পর্যন্ত গঠিত মজুরি বোর্ড এর কোন বৈঠক হয়েছে বলে আমরা শুনি নাই। পে-স্কেল, মজুরি কমিশন, বর্তমান বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে এবং ঝুঁকি বিবেচনায় ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, রি-রোলিং মিলের শ্রমিকদের মজুরি তার উৎপাদন, জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ হবে এটা যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা। মজুরি তার শ্রমশক্তির মূল্য, কোন দয়া বা করুনা নয়। রি-রোলিং শ্রমিকদের দাসের মত খাটানো হয়; সেখানে কোন শ্রম আইন নেই। কলকারখানা অধিদপ্তর এখানে কোন ভূমিকা রাখে না। রি-রোলিংসহ সকল শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমাম হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমম্বয়ক মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাইমুর আহসান জুয়েল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ।

আমাদের বাণী-আ.আ.হ/মৃধা

[wpdevart_like_box profile_id=”https://www.facebook.com/amaderbanicom-284130558933259/” connections=”show” width=”300″ height=”550″ header=”small” cover_photo=”show” locale=”en_US”]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।