নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের বাসাবাড়ির ভিতর থেকে প্রতিনিয়ত উজার হয়ে যাচ্ছে বনজ সম্পদ। বাসার চারদিক সাত ফুট উঁচু দেয়াল ঘেরা থাকায় ভিতরের গাছ অনায়াসে কেটে ফেলা হচ্ছে। সময় সুযোগ বুঝে রিক্সাভ্যানযোগে তা বাইরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণের চোখকে আড়াল করতেই এমন অভিনব পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে বলে অনেকের কাছে কথা বলে জানা গেছে। কেটে ফেলা গাছগুলোর মধ্যে মূল্যবান ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে।

গত কয়েক বছরে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে মিলেছে। গত বুধবার রেলওয়ে অফিসার্স কলোনীর ৩নং বাসায় এ গাছ কাটার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। গত বুধবার রিক্সাভ্যানযোগে কাটাগাছগুলোর গুড়ি করাতকল মিলে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই বাসায় বর্তমানে অবস্থান করছেন সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী এসএম রাশেদ ইবনে আকবর।

ওই বাসার কর্মরত অস্থায়ী রেল শ্রমিক (টিএলআর) মানিক জানান, স্যারের নির্দেশে গাছগুলো কেটে করাতকলে (স’মিল) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব গাছের তক্তা দিয়ে স্যারের বাসার ফার্নিচার বানানো হবে। এর আগেও অন্যান্য রেলওয়ে কর্মকর্তাদের বাসায় এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ আছে।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় বাসায় অবস্থানকারী রেলওয়ে কর্মকর্তা প্রকৌশলী এসএম রাশেদ ইবনে আকবরের কার্যালয়ে বলেন, শীতকালে রোদ তাপাতে তিনি এসব গাছ কেটেছেন। আইন মেনে তা কাটা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন দেশের সব জায়গায় অনিয়ম হয়, এখানেও সামান্য অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। তবে তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

ওই বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএসডাব্লুউ) মো. জয়দুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি জিএম অফিসে মিটিংয়ে আছি। গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনি পারলে এইএন সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। (ছবি আছে)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।