ফরাজী মোঃ ইমরান, পটুয়াখালী সংবাদদাতা; জেলার কুয়াকাটায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লকডাউনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মতি ও তার দলবল এ জমি দখল নিচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতের নথিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুস সত্তার ফরাজী।

অভিযোগে আবদুস সত্তার ফরাজী উল্লেখ করেন, উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী (কুয়াকাটা) ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্তার ফরাজী গংদের জমিতে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক রাতারাতি সাত আটটি ঘর তুলে দখলে নেয় ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান মতি। ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চলমান লকডাউনের সুযোগ নিয়ে দখলে মেতে উঠেন তার দলবল। লতাচাপলী গত ২২ মার্চ পটুয়াখালী বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১ থেকে ২৯৮/২০১৮ বিচারাধীন মামলার ধার্য তারিখ আগামী ২৯ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত বিরোধীয় জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ, আকার পরিবর্তন, সৃজনসহ সকল ব্যাপারে পুরাতন নিষেধাজ্ঞা আদেশের সময় বৃদ্ধি করে বাদী ও বিবাদীদের প্রতি আদেশ জারি করেন। বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের স্থিতি আদেশের তোয়াক্কা না করে মামলার বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজসে বাদী কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সত্তার ফরাজী গংদের নানা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘর তুলে দখল করে।

মুক্তিযোদ্ধা সত্তার ফরাজীর ছোটভাই মহিপুর থানা শ্রমিকলীগ সভাপতি কালাম ফরাজী বলেন, এবিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরারব লিখিত অভিযোগ দেওয়া সত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো রহস্যজনক কারণে প্রতিপক্ষকে রাতারাতি একাধিক ঘর তোলায় সহযোগীতা করেছে।

এবিষয়ে বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মতি বলেন, তাদের ওই দাগে কোন জমি নেই। আর যে জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে সেখানে লকডাউন উপেক্ষা কোন ঘর তোলা হচ্ছেনা।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

আমাদের বাণী ডট কম/০৪এপ্রিল ২০২০/সিসিএ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।