বিদায়ী বছরের শেষের দিন (৩১ ডিসেম্বর ২০১৯) মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম এর শহরের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মফঃস্বলের  প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা থানা আছে ২০টি। প্রতিবারের মতো এবারও পাসের হারের ভিত্তিতে এই সব থানার ক্রমতালিকা করা হয়েছে।এই তালিকায় দেখা গেছে শীর্ষ ১০–এর মধ্য শহরের মাত্র তিনটি থানার জায়গা হয়েছে। অথচ গতবার ১ম ৫পাঁচটির ৩টিই ছিল জেলা শহর।

শিক্ষা কার্যালয় সুত্রে উপজেলাগুলোতে ভালো ফলের পেছনে চারটি কারণ পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো, ১, দুপুর ১২টার বদলে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হওয়া। ২, শিক্ষকদের দেওয়া নানা প্রশিক্ষণ ও কৌশল ক্লাসে প্রয়োগ করা। ৩, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করতে শিক্ষকদের প্রচেষ্টা এবং ৪, দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম গ্রামের স্কুলে ভালো ফলের পেছনে দুটি উদ্যোগের কথা জানান। মিঃ ইসলাম আরও বলেন, মূলত ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়। তাঁরা বিদ্যালয়গুলোকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করার জন্য বলেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী ১ম ও ২য় শ্রেণির সঙ্গে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতো। এ ছাড়া শিক্ষকদের জন্যও নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সেই প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান তাঁরা শ্রেণি কার্যক্রমে প্রয়োগ করতে পেরেছেন। এসব কারণে ভালো ফল হয়েছে। আশা করি এই ফলাফল অব্যাহত থাকবে গ্রামের স্কুলগুলোতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।