সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অপর তিনজনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে তিনজনকে শহরের কৃত্তিপাশা মোড় এবং অপর তিনজনকে শিশু পার্ক এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্র লেখা কাগজ উদ্ধার করা হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন জনান, এনএসআই’র ফিল্ড পরিদর্শক মো. আশিকুল ইসলামের সহায়তায় এক পরীক্ষার্থী ও তার স্বামী এবং ভাইকে পরীক্ষার উত্তরপত্র লেখা অবস্থায় ঝালকাঠির কৃত্তিপাশা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাছুমা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক পরীক্ষার্থী মনীষা বিশ্বাস, তার স্বামী অসীম বিশ্বাস এবং ভাই কিশোর দেউড়িকে ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত তিন জনই রাজাপুর উপজেলার রোলা গ্রামের বাসিন্দা।

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার বলেন, পরীক্ষার আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উত্তর শুনে একটি কাগজে লিখছিল। এ সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।

এছাড়া পরীক্ষার আগে সকাল পৌনে দশটার দিকে ঝালকাঠি শহরের শিশুপার্ক এলাকা রাজাপুর উপজেরার বলাই বাড়ি গ্রামের থেকে নুরুল ইসলাম রিপন, ঝালকাঠি সদর উপজেলার চর ভাটারাকান্দার এলাকার রাশেদ গাজী ও খাগুটিয়া এরাকার সিয়াম হাওলাদার নামের তিন পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তারা পার্কে বসে মেসেঞ্জারে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তরপত্র পেয়ে নোট করছিল।

আটককৃত তিন জনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান সদর থানার ওসি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।