ঝিনাইদহের শৈলকুপার এক মাদ্রাসা ছাত্রকে মারপিটের ঘটনায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পরিচালনা পরিষদ।

জানা যায়, উপজেলার রয়েড়া দাখিল মাদ্রাসায় প্রায় দুই মাস পূর্বে উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মতিউর রহমান পরিদর্শনে যায়। ক্লাস পরিদর্শনের সময় ৫ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র পারভেজ হোসেন একাডেমিক সুপার ভাইজারের কাছে ক্লাস রুমের জন্য একটি ফ্যান দাবি করে। মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে একাডেমিক সুপার ভাইজার মাদ্রাসা ত্যাগ করতে না করতে অত্র প্রতিষ্ঠানের সহকারি সুপার লিয়াকত হোসেন দরজা বন্ধ করে আক্রোশবশত পারভেজকে বেদম মারপিট করেন। পরে অসুস্থ অবস্থায় পারভেজকে শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা নেয়।

এদিকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সহকারি সুপার লিয়াকত হোসেনের বিরুদ্ধে অদ্যবধি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন করায় তা প্রত্যাহার করা না হলে পারভেজকে মাদ্রাসা হতে টিসি দেওয়া হবে বলে পরিচালনা কমিটি ১-১০-১৯ ইং তারিখে একটি রেজুলেশন তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট দাখিল করেছেন। বেদম মারপিটের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে মহামান্য হাইকোর্ট ও শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের নির্দেশনা রয়েছে যে কোন শিক্ষার্থীকে শারীরিক শাস্তি দেওয়া যাবে না। যদি দেওয়া হয় তাহলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু রয়েড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অভিযোগ করায় রেজুলেশন দিয়ে টিসি দেওয়ার হুমকি প্রদান করেছেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি। এঘটনায় মাদ্রাসা সুপার কামাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমার কোন কিছুু করার নেই। এটা সম্পূর্ন ম্যানেজিং কমিটির বিষয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।