বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া সন্দেহে এক শিক্ষক স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে স্ত্রী। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঘটনার রাতে স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে একত্রে রাত্রিযাপন করতে ঘুমিয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থা মাহতাব ঘুমিয়ে থাকেন। মধ্যরাতে স্বামী মাহতাব তার পুরুষাঙ্গে প্রচুর ব্যথার অনুভব করনে। মাহতাব তার পরনের কাপড় রক্তেভেজা দেখে স্ত্রীকে চিৎকার দিয়ে ডাকতে থাকেন। তার ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন এসে দেখেন শিক্ষক মাহতাবের পুরুষাঙ্গ কাটা ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-বাংলা-মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নলবুনিয়া গোড়াপাড়া গ্রামের আ. গনি তালুকদারের পুত্র ও আগাপাড়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহতাব (৪০) সঙ্গে একই এলাকার আগাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামে মেয়ে আয়েশা বেগমের (৩০) পারিবারিকভাবে ২০০৭ সালে বিয়ে হয়। স্বামীকে অচেতন করে ঘুমের মধ্যে পুরুষাঙ্গ কেটে উধাও হয় স্ত্রী আয়েশা বেগম। এ ছাড়াও তাদের বিয়ের ১২ বছর অতিবাহিত হলেও কোনো সন্তানাদি না হওয়ায় সংসারে প্রায়ই অশান্তি ও কলহ লেগে থাকতো।

স্ত্রী আয়েশা বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমার স্বামীর সঙ্গে তার বিদ্যালয়ের একটি মেয়ের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি সে মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের পরকীয়া সম্পর্ক এখনো রয়েছে। রাতে স্বামী মাহতাবের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। রাতে সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাই। সকালে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার সংবাদ শুনেছি।

মাহতাবের প্রতিবেশী সোহরাব মিয়া জানান, শিক্ষক মাহতাবের স্ত্রী আয়েশা বেগম এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার দিন তারা বাড়িতে একই সঙ্গে রাত্রি যাপন করলেও ঘটনার সময় তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে স্ত্রী আয়েশা বেগমকে তার পিত্রালয় পাওয়া গেছে।

তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান জানান, লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।