ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলমান সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নেতারা। আজ-কালের মধ্যেই শিডিউল পেলে এ সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাকসু’র সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য।

সোমবার আন্দোলন চলাকালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে তিনি আন্দোলনকারীদের জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান দেশের বাইরে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীও অসুস্থ। ফলে সাত কলেজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নেই।’

ঐতিহ্য বলেন, ‘এ ব্যাপারে ডাকসুতে বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উঠেছে। ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী শিডিউল নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে মেলেনি। আজ-কালের মধ্যেই সাক্ষাত হতে পারে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) চলমান সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবারও প্রশাসনিক ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে। ফলে অধিকাংশ বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে। বিঘ্ন ঘটেছে প্রাশসনিক কার্যক্রমেও। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, আজ সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভবনে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এসময় ফটকগুলোতে বিভিন্ন ধরণের পোস্টারও লগিয়ে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের ফটকগুলোর কার্যক্রম।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগে চার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারা। তবে এখন সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

তারা জানান, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, আইইআর, রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও ভিসির কার্যালয়ে আজও কর্মসূচি পালন করা হবে। আন্দোলনকারীরা বলেন, সাত কলেজ বাতিলের দাবি ঢাবির অস্তিত্ব রক্ষার দাবি। তালা কর্মসূচি আন্দোলনকে বেগবান করেছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, রবিবার আন্দোলনকারীদের অবরোধে বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিকেলে শিক্ষার্থীদের লাগানো তালাগুলো ভেঙে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে জরুরি এক বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে তাদের সহানুভূতি রয়েছে দাবি করে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।