রাজধানীর সরকারি ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে বাতিল করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিবি অবিলম্বে অধিভূক্তি বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, ‘অবিলম্বে ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকেন। কেন এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা দরকার সেখানেই সবিস্তার বলবো।’

তিনি বলেন, ‘পরের সিন্ডিকেটে গিয়ে ২০২০ সাল থেকে এই গজব থেকে আমাদেরকে রেহাই দেন। শুধু আমরা না, সাত কলেজের ছাত্রছাত্রীদেরকেও এই গজব থেকে রেহাই দেন। ছাত্রছাত্রীদের বর্তমান আন্দোলন একটি যৌক্তিক আন্দোলন। ক্যামেরায় ছবি তুলে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবারও প্রশাসনিক ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে তালা দেওয়া হয়েছে। ফলে অধিকাংশ বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে। বিঘ্ন ঘটেছে প্রাশসনিক কার্যক্রমেও। এখন ভিসি চত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষাভ করছেন তারা।

জানা গেছে, আজ সকালেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ভবনে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এসময় ফটকগুলোতে বিভিন্ন ধরণের পোস্টারও লগিয়ে দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের ফটকগুলোর কার্যক্রম।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগে চার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারা। তবে এখন সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।

তারা জানান, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, আইইআর, রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও ভিসির কার্যালয়ে আজও কর্মসূচি পালন করা হবে। আন্দোলনকারীরা বলেন, সাত কলেজ বাতিলের দাবি ঢাবির অস্তিত্ব রক্ষার দাবি। তালা কর্মসূচি আন্দোলনকে বেগবান করেছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, রবিবার আন্দোলনকারীদের অবরোধে বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিকেলে শিক্ষার্থীদের লাগানো তালাগুলো ভেঙে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে জরুরি এক বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে তাদের সহানুভূতি রয়েছে দাবি করে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।