সীমান্তে লাগাতার হত্যাকাণ্ড ও ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ৯ বছরেও বিচার না হওয়ায় এর জন্য বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি’কে দায়ী করেছে আগ্রাসনবিরোধী ছাত্রমঞ্চ নামে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি মোর্চা।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি, ২০২০) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের পর বিকাল ৪ টায় আয়োজিত এক সমাবেশে সীমান্তে লাগাতার হত্যা ও এর বিচার না পাওয়া সংস্কৃতির জন্য ভারতের প্রতি সরকারের নতজানু নীতিকে দায়ী করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী আল কাদেরী জয়ের  সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দীন প্রিন্স, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এম পারভেজ লেনিন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিফ অনিক,পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সুনয়ন চাকমাসহ অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা ফেলানী হত্যার বিচারসহ বাংলাদেশের সাথে ভারতের অসম বাণিজ্য, ভারত কতৃর্ক তিস্তাসহ নদী উপর বাঁধ নির্মাণ, রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নতজানু নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। এই বিষয়ে ছাত্র-জনতার মিলিত লড়াইয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তারা দেশের সম্পদ ও সার্বভৌমত্বের উপর হুমকিস্বরুপ সমস্ত চুক্তি বাতিলের আহবান জানান।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক আয়োজনে গান পরিবেশনা করেন গণসংগীত শিল্পী অরুপ রাহী, বিবর্তন, সাংস্কৃতিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।