সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা; জেলায় পুলিশ ও নার্সসহ আরও ৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে তাহিরপুরের একজন সিনিয়র নার্সসহ তিনজন এবং জেলা শহরের পুলিশ লাইনে আরো তিনজন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাহিরপুরে আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে দুজন পুরুষ যাদের বয়স ২০-৪০ এর মধ্যে আরেকজন নারী বয়স ( ৩০)। এই নারী তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের সিনিয়র নার্স। অন্য দুজন পুরুষের মধ্যে একজন উপজেলা বাদাঘাট ইউনিয়ন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিশিয়ান আরেকজন মধ্যতাহিরপুর গ্রামের একজন পুরুষ। এ নিয়ে তাহিরপুর উপজেলায় মোট ১২জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে দুপুরে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্তব্য পালনকালে তিন পুলিশ সদস্য নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে ওয়েজখালীস্থ পুলিশ লাইনে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৮৮জন করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে

এ ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি জানান, করোনায় আক্রান্ত সবাইকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আইসলোশনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। আপদত আক্রান্তদের নিজ নিজ নিজ বাড়িতেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো. আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নতুন করে আক্রান্তদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং সাধারন জনগনকে সচেতন করতে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন জানান সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৮৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনের সর্বশেষ (২১ মে ২০২০) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৪৩২  জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৯৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫ জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হ‌য়েছেন আরও ৫৮৮ জন। এ নি‌য়ে সুস্থ হ‌য়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ছয় হাজার ১৯০ জ‌নে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানানো হয়, হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে আটজন ও হাসপাতালে আনার পথে একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, বরিশাল বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের তিনজন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে ২১-৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১-৫০ দুইজন, ৫১-৬০ পাঁচজন, ৬১-৭০ ছয়জন, ৭১-৮০ দুইজন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন।

আমাদের বাণী ডট/২২ মে ২০২০/পিবিএ 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।