সৈয়দপুরে সাইকেল চোরের হাতে সাইকেল মালিক নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম সোহেল (২৫)। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা মানববন্ধন করে।

মানববন্ধনে নিহতের বাবা রংমিস্ত্রি সাইদুল হক অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে হত্যার এক মাস ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করছে না। অথচ হত্যাকারীরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও খুনিরা হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, প্রভাবশালী একটি মহলের ছাত্রছায়ায় পুলিশের নাকের ডগায় খুনি গংরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী সানা বেগম তার বক্তব্যে বলেন আমার স্বামীকে নির্মমভাবে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার এক বছর বয়সি সন্তানকে তারা এতিম বানালো। আমি অল্প বয়সে হলাম বিধবা। আমার সন্তান কাকে বাবা বলে ডাকবে। ঘুমের ঘোরে আমার ছেলে সাব্বির প্রতিদিন বাবা বাবা বলে চিৎকার দেয়। আমি মা হয়ে সন্তানের এমন আকুতি আর সহ্য করতে পারছি না। হয়তোবা স্বামীর শোকে আমারও মৃত্যু হবে। পিতা-মাতাহীন হয়ে পড়বে আমার এই অবুঝ সন্তান। তিনি এ সময় খুনি সনু, জনি, রকি ও ফয়সালকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। কান্নাজড়িত কন্ঠে সানা বেগম আরো বলেন ন্যায় বিচার পেতে আমি মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর তারকাটা ফ্যাক্টরীর শ্রমিক সোহেলের ব্যবহৃত একটি বাইসাইকেল চুরি যায় সন্ধ্যায়। পরে চুরি যাওয়া ওই সাইকেল সে খুনি চক্রের হাতে দেখতে পায় মুন্সিপাড়ার খেজুরবাগ এলাকার দেলোয়ার ঠিকাদারের পাঁচতলা ভবনের কাছে। এ সময় সাইকেল মালিক চোরদের জিজ্ঞাসা করলে সাইকেল চোর রকি, সনু, জনি ও ফয়সাল তাকে দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। এ সময় তার আর্তচিৎকার শুনে এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিনই আসামীদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।