নীলফামারীর  সৈয়দপুর শহরে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠা দুই শতাধিক অবৈধ কাঁচা-পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ (০২ জানুয়রা ২০২০) বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই সব কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

সৈয়দপুর রেলওয়ের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা নেতৃত্বে সৈয়দপুর শহরের দুই নম্বর রেলগেট থেকে হাতিখানা বানিয়াপাড়া পর্যন্ত রেলপথের দু’পাশে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহ-আল মামুনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা জানান, রেললাইনের দুই পাশ ঘেঁষে গড়ে উঠা অবৈধ কাঁচা পাকা স্থাপনার কারণে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। এতে মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কাও ছিল। এ সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৩০ জুন পাকশী রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি পত্র দেন। কিন্তু গত ৫/৬ মাসেও এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছিল না। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রেলওয়ে লাইনের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে অনেকের অভিযোগ উচ্ছেদ অভিযানে প্রাক্কালে রেললাইনের দুই পাশের কাঁচা-পাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হয় ঠিকই। কিন্তু রেলপথের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ পিকআপ স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, সৈয়দপুর শহরের দুই নম্বর রেলওয়ে গেট থেকে হাতিখানা বানিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেল লাইন ঘেঁষে দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্যক অবৈধ স্থাপনা। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে রয়েছে হোটেল-রেস্তোঁরা, বেডিং দোকান, কামার, স্বর্ণকার, মাংস, ট্রাঙ্ক-বালতির কারখানা, কাগজের বাক্স তৈরি কারখানা, টেইলার্স, আসবাবপত্র তৈরি কারখান প্রভূতি। এতে করে ট্রেন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।