নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৭১’র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সংগ্রহের নামে অর্থ আদায়ের প্রতারণা মামলায় সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত খুরশীদ আলম (৫৫) সংগঠনের সৈয়দপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
বুধবার দুপুরে মুন্সিপাড়া এলাকায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর শহরের হাতীখানা বানিয়াপাড়া এলাকা থেকে সংগঠনের সক্রিয় কর্মী মোছা. খোদেজা বেগমকে (৪৭) সদস্য সংগ্রহের নামে টাকা আদায়ের সময় হাতেনাতে আটক করে সৈয়দপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী।
থানায় দায়েকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭১’র সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়। স্থাপন করা হয় শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় সংগঠনের নিজম্বও কার্যালয়। এ সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করার নামে প্রতিজনের কাছ থেকে তারা নগদ ২-৩ হাজার করে টাকা আদায় করতে থাকে। আর পরিষদের সদস্য হতে পারলে প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের মতো প্রতি মাসে ১০- ১৫ হাজার টাকা সরকারি ভাতা, সরকারের দেওয়া ৯ লাখ টাকার বাড়ি, ছেলেমেয়েদের সরকারি চাকুরিতে কোটা, জাতীয় দিবসে সম্মাননাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে প্রলোভন দেখানো হয়।
এ অবস্থায় গত ২৮ নভেম্বর সংগঠনের কর্মী খোদজা বেগমকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ প্রতারণার ঘটনায় ওই দিন রাতে সৈয়দপুর থানায় একটি প্রতারণার বিশ্বাসভঙ্গের মামলা দায়ের করা হয়। প্রতারণার শিকার গৃহবধূ মোছা. জোবেদা বেগম ওরফে জোবে নিজে বাদী হয়ে থানায় ওই মামলা করেন। পরদিন ২৯ নভেম্বর আটক খোদেজা বেগম জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে সে সংগঠনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ঘটনার মূল হোতা মো. খুরশীদ আলমসহ তিন জনের নাম বলেন।
ওই মামলার তিন নম্বর আসামী মো. খুরশীদ আলমকে গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম মুন্সিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই আসামী পলাতক ছিল।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক মো. আবুল হাসনাত খান গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন,গ্রেপ্তারকৃত খুরশীদকে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হয়েছে।