ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ কচুবাড়ী গ্রামের হোটেল শ্রমিক খাদেমুল ইসলামের ছোট মেয়ে শামিমা আক্তার শাম্মী (১৭) দীর্ঘদিন থেকে এক অজানা রোগে ভুগছেন। তার ডান পা কিছুটা অকেজো হয়ে গেছে, পায়ের সবটুকু অংশ ফুলে গেছে। কিছু কিছু অংশে পঁচন ধরেছে।

এমন খবর পত্রিকায় প্রকাশের পর নজরে আসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিমের। এরপর খোঁজ খবর নিয়ে শাম্মীর চিকিৎসার দায়িত্বভার নেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার আর্থিক খরচ বাবদ তিনি ১০ হাজার টাকা নগদ শাম্মীর বাবা খাদেমুল ইসলামের হাতে তুলে দেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, পত্রিকায় সংবাদটি নজরে আসার পর মেয়েটির বাবাকে ডেকে নিই। মেয়েটির চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব জেলা প্রশাসন বহন করবে। আমি আশা করছি, আল্লাহর রহমতে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। শাম্মী কচুবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। মেয়ের পায়ের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে এখন ব্যর্থ হয়ে তার গণমাধ্যমকর্মীদের দ্বারস্থ হোন।

এর আগে গণমাধ্যম কর্মীদের শাম্মীর বাবা খাদেমুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েটি খুব আদরের।মেয়েটিকে আমরা খুব ভালোবাসি। হঠাৎ করে দেখি ডান পায়ে সমস্যা, ছোট ছোট ঘা ও ফোলা। তখন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তার শুভেন্দু কুমার দেবনাথ আমার মেয়েকে কিছু ঔষধ, ইনজেকশন দেন এতে রোগের কোন উন্নতি হয়নি। তারপর তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিভাসকুল্যার ডিজিস হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। ঢাকায় অনেকদিন ছিলাম অনেক ডাক্তারকে দেখাইছি, কোন কাজ হয়নি। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি আর পারতেছি না। যা ছিলো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কোন রকম সংসার চলতেছে। আমি সমাজের বিত্তবান ও সরকারে কাছে সহযোগিতা চাই। মেয়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। শাম্মীর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু পায়ের জন্য স্বপ্নভঙ্গ হতে যাচ্ছে শাম্মীর।

অনেক আক্ষেপ করে শাম্মী বলেছে, আমার খুব ইচ্ছা ছিলো আমি ডাক্তার হবো, কিন্তু আমি আর পারলাম না। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি সুস্থভাবে বাঁচতে চাই, আমি আমার সহপাঠিদের সাথে খেলাধুলা করতে চাই। আমি পড়াশুনা করতে চাই। কেউ কী পারবে না আমাকে সহযোগিতা করতে?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।