অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাকে অনুসরণ করো কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমি স্কুলে বেতন দিতে পারিনি। তাই এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগে তিন বার খাতা থেকে নাম কাটা পড়েছিল। তারপর গ্রামের মানুষ বেতন দিলে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি মেলে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাতেও বেতন দিতে পারিনি। গ্রামের মানুষ বেতন দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহাবাগে জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদসহ বিভিন্ন স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজের জীবনের কথা এভাবেই তূলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি লজিং থেকে টিউশনি করিয়ে পড়ালেখা করেছি। তারপর আজকে অর্থমন্ত্রী হয়েছি। সুতরাং সব শিশু-কিশোরই আগামীতে অর্থমন্ত্রী হতে পারবে।

‘আমিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরো কিছু দিয়ে গেলাম। আপনাদের শুধু এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, আপনারা আমাকে জানেন, কমবেশি আমাকে অনুসরণ করলে কাজে লাগবে। আমি অনেক কষ্ট করে আজ এখানে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে এসে নিজেকে দেখে সম্মানিত বোধ করছি। আজকে এখানে আসার যে ইতিহাস এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। আমি যখন থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করি ক্লাস সেভেন থেকে এসএসসি পর্যন্ত ৩ বার বেতন দিতে না পারায় নাম কাটা গেছে। আমার স্কুলের বেতন দিয়েছে এলাকার মানুষজন গ্রামের মানুষ। আবার কলেজে যখন ফরম পূরণ করবো তখনও টাকা ছিল না। শেষ দিন…. একদম শেষ দিন, লাস্ট ডে তে আমার গ্রামের হাবিবুল্লাহ নামের একজন ছিলেন তিনি আমার ফরম পূরণের টাকা দিয়েছিলেন। আমি লজিংয়ে থেকে লেখাপড়া করেছি, টিউশনি করেছি, লজিংয়ে থেকে পড়ালেখা করে আজ আমি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হতে পেরেছি, আজ আমার সামনে তোমরা যারা আছ তারা কেন হতে পারবে না। বললেন অর্থমন্ত্রী।’

কিশোরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এজন্য মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করতে হবে এবং বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।