স্বামী স্কুলের সভাপতি আর স্ত্রী প্রধান শিক্ষক। এই দুজন মিলেই চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের যাবতীয় নিয়োগ বানিজ্য। স্কুলের করণীক নিয়োগে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার নিয়োগ বানিজ্য করার পর এবার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১১ লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। ইতিমধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে পড়েছে।

ইচ্ছুক প্রার্থীরা প্রতিকার চেয়ে সংবাদকর্মীদের দারস্থ হয়েছেন। এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা মহিউদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

গত ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ তারিখ ছিল। এলাকার অনেক বেকার যুবক শর্ত পুরণ করে আবেদন করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহার ও সভাপতি আলাউদ্দীন স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক হওয়ায় তারা পরস্পরের যোগসাজসে একই স্কুলের শিক্ষক কে এম মশিউর রহমানকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে পদের দাম হাকানো হয়েছে ১১ লাখ টাকা। সেই কথোপকথনের অডিও এখন মানুষের হাতে হাতে।

প্রধান শিক্ষক বলেছেন কে এম মশিউর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর আগে করণীক নিয়োগে বানিজ্য করা হয়। পিতার নামে স্কুল হওয়ায় সভাপতি ও তার স্ত্রী সেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এলাকাবাসির অভিযোগ স্কুলে নিয়োগ বানিজ্য হলে গ্রামবাসি তা প্রতিহত করবে। স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিবে। স্কুলে বিশৃংখলা পরিবেশের সৃষ্টি হবে।

এ বিষয়ে স্কুলের সভাপতি আলাউদ্দীন ও প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহারের বক্তব্য নিতে সোমবার রাতে ফোন করা হলে তাদের দুজনার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।